আর-রাযযাক নামের অর্থ ও ব্যাখ্যা

Admin

Salafilab
LV
0
 
Joined
May 24, 2023
Messages
665
Reaction score
0
Points
16
Website
salafilab.com
আর-রাযযাক (রিযিকদাতা):

তিনি সমস্ত সৃষ্টির রিযিকদাতা। ঊর্ধ্বজগত ও নিম্নজগতের এমন কোন সৃষ্টি নেই যে তাঁর রিযিক ভোগ করে না। সকলেই তাঁর দয়ার সাগরে ডুবে আছে।[1]

আল্লাহর রিযিক দু’ধরণের;

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلرَّزَّاقُ٥٨﴾ [الذاريات: ٥٨]]​

“নিশ্চয় আল্লাহই রিযিকদাতা।” [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৮]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,

وَمَا مِن دَآبَّةٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ إِلَّا عَلَى ٱللَّهِ رِزۡقُهَا٦﴾ [هود: ٦]]​

“আর জমিনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহরই।” [সূরা হূদ, আয়াত: ৬][2]

প্রথমত: অর্জনকৃত উপকারী রিযিক, যা বান্দাকে সর্বোচ্চ লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে পৌঁছায়। আর তাহলো তিনি নবী-রাসূলদের মাধ্যমে হিদায়েত ও নসীহত প্রদান করেছেন। এগুলো আবার দু’ধরণের।

প্রথম প্রকার: উপকারী ইলম ও সঠিক ঈমানের মাধ্যমে অন্তরের রিযিক। কেননা উপকারী ইলম ও সঠিক আক্বীদা অর্জন ব্যতীত ব্যক্তির অন্তর সংশোধন হয় না এবং তার সফলতাও আসে না। অত:পর উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান হতে হয় এবং অসচ্চরিত্রের যাবতীয় দোষ মুক্ত হতে হয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে আগমন করেছেন তা উপরোক্ত দুটি বিষয়ে পরিপূর্ণ যথার্থ। তাঁর পদ্ধতি ব্যতীত কোন পথ খোলা নেই।

দ্বিতীয় প্রকার: আল্লাহ তাঁর বান্দাকে হালাল রিযিকের দ্বারা হারাম থেকে মুক্ত রাখবেন এবং তাঁর দয়ায় তিনি ব্যতীত অন্য কারো থেকে মুখাপেক্ষীহীন রাখবেন।

প্রথম প্রকার হলো সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহৎ উদ্দেশ্য আর দ্বিতীয় এ প্রকার প্রথম প্রকারের মাধ্যম। আল্লাহ কোন বান্দাকে উপকারী ইলম, সহীহ ঈমান, হালাল রিযিক ও আল্লাহর বণ্টনে তুষ্টতা দান করলে সে তার যাবতীয় ব্যাপার পূর্ণ করল এবং দুনিয়া ও আখিরাতের সব অবস্থা দৃঢ়তার সাথে সঠিক করল। এ প্রকারের রিযিকের ব্যাপারেই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসে প্রশংসা করেছেন এবং অনেক উপকারী দো‘আয় এ ব্যাপারে দো‘আ করা হয়েছে।

দ্বিতীয়ত: স্রষ্টা জল-স্থলের ভালো-খারাপ সব ধরণের মানুষ ও অন্যান্য সকল প্রাণীর কাছে তাদের জীবিকা নির্বাহের খাদ্য পৌঁছে দেন। তাদের সে খাবার কখনও হালাল থেকে হতে পারে আবার কখনও হারাম থেকে হতে পারে। এ কারণেই আলেমদের মধ্যে মতানৈক্য পরিলক্ষিত হয়েছে যে, হারাম খাদ্যকে রিযিক বলা হবে কি-না? এটিকে যদি প্রথম প্রকারের সাধারণ রিযিকের অন্তর্ভূক্ত করা হয়, যা এমনিতেই আসে না; বরং অর্জন করতে হয়, তাহলে এতে হারাম অন্তর্ভুক্ত হবে না। কেননা বান্দা যখন আল্লাহর কাছে রিযিকের প্রার্থনা করে তখন সে দীনের উপকারী ইলম ব্যতীত অন্য কিছু প্রার্থনা করে না। এটিই হচ্ছে প্রথম প্রকারের রিযিক। আর এখানে রিযিক দ্বারা সাধারণ রিযিক উদ্দেশ্য হলে –দ্বিতীয় প্রকারের রিযিক- এতে হারাম রিযিকও অন্তর্ভুক্ত হবে। জমিনের বুকে সকল প্রাণীর রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর। নি‘আমত ও রহমতের ব্যাপারেও রিযিকের অনুরূপ কথা বলা যায়।[3]



[1] তাওদীহুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১২৮।
[2] আল-হাক্বুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৮৫।
[3] তাওদীহুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১২৮-১২৯; আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৮৫; আত-তাফসীর, ৫/৬২৬।
 
665Threads
665Messages
9Members
Delbert497Latest member
Top