ছাহাবীর বক্তব্য- (আমাদেরকে এই বিষয়ে আদেশ দেওয়া হয়েছে) অথবা (আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এই বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন) আদিষ্ট বিষয়টি ওয়াজিব হওয়ার ইঙ্গিত করে। কারণ ছাহাবী স্বীয় বর্ণনার ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত এবং অন্যদের চেয়ে ভালো বোঝেন। আর কোনো কোনো মুতাকাল্লিম (কালামশাস্ত্রবিদ) বলেন, ছাহাবীর এমন বক্তব্য ততক্ষণ পর্যন্ত দলীল হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত “রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” শব্দটি উল্লেখ না করবে, কারণ হতে পারে যে, তিনি (তার থেকে) এমন কোনো ক্রিয়া শুনেছেন, যেটাকে তিনি আদেশ অথবা নিষেধ ভেবেছেন, কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি এমন নাও হতে পারে।
ছ্বন'আনী এই বক্তব্যের সমালোচনায় তাওদ্বীহুল আফকার গ্রন্থে (১/২৭১) বলেছেন: যদি আমরা এই জাতীয় সম্ভাবনার উপরে আমল করি, তাহলে একমাত্র সরাসরি নবী (সা: নিজের শব্দ সম্বলিত বর্ণনা ছাড়া আর কোনো বর্ণনা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং অর্থগত বর্ণনা বাত্বিল বলে বিবেচিত হবে। আর এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, ছাহাবীদের ন্যায়পরায়ণতা ও শব্দের আভিধানিক মর্মের ব্যাপারে তাদের পাণ্ডিত্য এবং তাদের বাহ্যিক অবস্থা থেকে বোঝা যায় যে, তারা একমাত্র ঐ ক্ষেত্রেই এমন শব্দের (আমর বা নাহী শব্দ থেকে গঠিত ক্রিয়া) ব্যবহার করবেন, যেখানে শব্দটি বাস্তবেই প্রযোজ্য হয়।
- বই: 'তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ আলা মানাহিজি আহলিল হাদীছ', লেখক: যাকারিয়া ইবন গুলাম কাদীর পাকিস্তানী, প্রকাশনী: মাকতাবাতুস সুন্নাহ, রাজশাহী
ছ্বন'আনী এই বক্তব্যের সমালোচনায় তাওদ্বীহুল আফকার গ্রন্থে (১/২৭১) বলেছেন: যদি আমরা এই জাতীয় সম্ভাবনার উপরে আমল করি, তাহলে একমাত্র সরাসরি নবী (সা: নিজের শব্দ সম্বলিত বর্ণনা ছাড়া আর কোনো বর্ণনা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং অর্থগত বর্ণনা বাত্বিল বলে বিবেচিত হবে। আর এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, ছাহাবীদের ন্যায়পরায়ণতা ও শব্দের আভিধানিক মর্মের ব্যাপারে তাদের পাণ্ডিত্য এবং তাদের বাহ্যিক অবস্থা থেকে বোঝা যায় যে, তারা একমাত্র ঐ ক্ষেত্রেই এমন শব্দের (আমর বা নাহী শব্দ থেকে গঠিত ক্রিয়া) ব্যবহার করবেন, যেখানে শব্দটি বাস্তবেই প্রযোজ্য হয়।
- বই: 'তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ আলা মানাহিজি আহলিল হাদীছ', লেখক: যাকারিয়া ইবন গুলাম কাদীর পাকিস্তানী, প্রকাশনী: মাকতাবাতুস সুন্নাহ, রাজশাহী